সোহান রক্ষিত, বাঁকুড়া : এবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে এই সহস্র ভূজা দেবী দুর্গার আরাধনা হতে চলেছে। সারেঙ্গা ব্লকের খামানী গ্রামের জগদানন্দ সন্ন্যাস আশ্রম। এখানেই এবার সহস্র ভূজা দেবী দুর্গার আরাধনা হতে চলেছে। এই আশ্রমের স্বামী মহেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ নিজের হাতে গড়েছেন সহস্র ভূজা দুর্গার রুপ। পুজোর প্রায় ছয় মাস আগে-ভাগেই এই মূর্তি তৈরি কাজ তিনি শুরু করেন কয়েকজন সহযোগী শিল্পীদের নিয়ে। আজও চলছে এই মূর্তি তৈরির কাজ জোরকদমে। কারণ হাতে আর সময় নেই। তবে কোথা থেকে এই সহস্রভূজা দেবীর মূর্তির ভাবনা এই বিষয় মহারাজের কথায়
ভাবনাটা আমার নিজের ভাবনা নয় এটা শাস্ত্রীয় ভাবনা। শাস্ত্রের বচন কিম্বা চন্ডীর পুরানেও সহস্র ভূজা দুর্গার উল্লেখ আছে। জগৎ জননী মায়ের আবির্ভাব বহুরূপে নানা অলংকারে ভূষিত হয় জনসমক্ষে এসে উদ্ভাসিত হয়েছেন। মা এই সহস্রভূজা দুর্গার আদেশ দিয়েছেন তাই করেছি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জঙ্গলমহলের এই আশ্রমে দীর্ঘ ৩৫ বছর দেবির আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন আশ্রমিক সহ এলাকার সাধারণ মানুষ। আশ্রমের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর ভক্তি ভরে দেবির আরাধনা হয়। পুজোর চারটা দিন আশ্রমের মধ্যেই চলে অখণ্ড হরিনাম কীর্তন। নবমীর দিন কুমারী পূজা ও চন্ডীপাঠ আশ্রমের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। তবে এবার দেবীর সহস্রভূজা রুপের আবির্ভাবে খুশি সকলেই। প্রতিবছর পুজোর চারটে দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তসহ ভিন রাজ্য থেকেও ভক্তরা আসেন আশ্রমে। পুজোর বিশাল অংকের অর্থের ভার কাঁধে তুলে নেন সকলেই একসাথে।
এর আগে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে সহস্র ভূজা দেবী দুর্গার রূপের আবির্ভাব হয়নি কখনো । তাই আশ্রমের এই সহস্র ভুজা দেবী দুর্গা এবার সকলের নজর কাড়বে তাতে বলার অবকাশ রাখেনা।
0 মন্তব্যসমূহ