মা উমার বাপের বাড়ি আগমনের আগে প্রকৃতির কোলে দেবীর স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হলো বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ফটোগ্রাফাররা অংশগ্রহণ করেন এই ওয়ার্কশপে। ন্যাশনাল একাডেমি অফ ফটোগ্রাফির উদ্যোগে দুদিনের এই ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হলো পাহাড়ের পাশে ছোট্ট একটি গ্রাম আগোয়ায়।
পাহাড়ের কোলে ফটো প্রেমীদের কাছে কাশফুলের হাওয়াই দোলা ছবি যেমন স্বপ্ন। তেমনি প্রত্যন্ত গ্রামের শিশিরে ভেজা সৌন্দর্য অন্যতম প্রাপ্তি। প্রত্যন্ত গ্রামে দেবীর কখনো বাহকের কাঁধে আবার কখনো গরুর গাড়িতে আগমনের ছবি ইতিমধ্যে মুগ্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়াও শরতের নীল আকাশ ও কাশির বনে মায়ের বিভিন্ন চিত্র ছবি তুলেছেন একাডেমির ছাত্রছাত্রীরা। গত দুই বছর ধরে এই ওয়ার্কশপ হচ্ছে শুশুনিয়ার আগোয়া গ্রামে এই ওয়ার্কসপকে কেন্দ্র করেই গত বছর আগেয়া গ্রামে প্রথমবারের জন্য সূত্রপাত হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। এই বছরও তা বজায় থাকলো । গ্রামের মানুষরাও খুশি এরকম একটি ওয়ার্কসপ, যার মাধ্যমে তারা তাদের বিশ্ব জননীকে খুঁজে পেয়েছেন।
এই বিষয়ে ন্যাশনালে একাডেমি অফ ফটোগ্রাফির ডিরেক্টর মধু সরকার বলেন এই গ্রামের মানুষদের প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি। গত দু'বছর ধরে এখানেই ওয়ার্কসপ হয়েছে। এছাড়া এই ওয়ার্কসপের জন্যই এখানে দুর্গাপূজা হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে।"
পুজোর আগে গ্রামজুড়ে দুদিন প্রায় দুর্গাপুজোর সাড়ম্বরে খুশি গ্রামের মানুষও তাদের কথায় শহরের এই বাবুদের জন্য আমরা প্রথম গ্রামের দুর্গাপূজার সাধ পেয়েছি। এতেই আমরা খুশি আমরা চাইবো প্রোগ্রাম যেন আরো আমাদের গ্রামে হয়।
0 تعليقات