সোহান রক্ষিত, বাঁকুড়া : বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের এই আদিবাসী গ্রামের হয় দূর্গা পূজো। গ্রামের আদিবাসী রমণী সরস্বতী হাঁসদার হাতেই এখানে পূজিত হোন দেবী দুর্গা। কোন বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ নই, আদিবাসী ভাষায় মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়েই এখানে চলে পূজো। হীড়বাঁধ ব্লকের দোমোহানি এই গ্রাম। দেবী দূর্গার স্বপ্না দেশ পেয়েই সরস্বতী হাসদা শুরু করেন এই পূজো ।
পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামের পূজোয় নেই থিমের ভাবনা, নেই আলোর সাজ সজ্জা। শুধু ভক্তি ভরে সারা বছর এখানে পুজিত হন মা। সাঁওতালী ভাষায় মন্ত্রোচারন করে দীর্ঘ ২০ বছরের বেশী সময় ধরে নিয়ম ও নিষ্ঠার সাথে দেবী দুর্গার আবাহন করে আসছেন গ্রামের সরস্বতী হাঁসদা।
নিত্য পুজো সারা বছর হলেও সপ্তমী থেকে দশমী নিয়ম রীতি মেনেই পুজো করেন তিনি নিজেই। এছাড়াও সারাবছর প্রতিমা রেখে পুজো হলেও দুর্গা পুজার আগে পুরনো প্রতিমা বিসর্জন করে হয় নতুন প্রতিমা তৈরি। তবে আজ থেকে দু'দশক আগে এই পুজো শুরুর দিন গুলিতে, পুজোর বিরোধীতা করেছিলেন অনেকেই।কারন আদিবাসী সমাজে নেই মূর্তি পুজোর প্রচলন। এক দিন স্বপ্নাদেশে পুজো শুরু করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন তিনি । এখন গ্রামের সবাই অপেক্ষা করে থাকেন বছরে পূজোর চারটি দিনের জন্য। এখন আর হাঁসদা বাড়ির পুজো নয়, এইপুজো এখন সার্বজনীন। এখন শুধু বাঁকুড়া জেলা নয় আসেপাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এই গ্রামের পূজোয়।
0 تعليقات